মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

গোলাগুলির পর অস্ত্রসহ ৫ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিবি’র সঙ্গে ইয়াবা পাচারকারীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অস্ত্রসহ ৫ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা।

রোববার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান এ তথ্যটি জানান।

তিনি বলেন, রোববার ভোরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ ওমরখাল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে নাফ নদী পার হয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে দ্রুত সেখানে যায় এবং কেওড়া বাগান ও নাফ নদীতে গোপনে কৌশলগত অবস্থান নেয়।

“পরে নাইট ভিশন ডিভাইস দ্বারা টহলদল ৩-৪ জন মাদক ব্যক্তিকে মিয়ানমারের লালদ্বীপ হতে নৌকাযোগে বিআরএম-৯ হতে ৫০০ গজ উত্তর দিক দিয়ে শূন্য লাইন থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখে।

টহলদল তাদেরকে দেখামাত্র স্পীড বোট ও দেশী বোট দিয়ে চারদিকে ঘেরাও করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে। তাৎক্ষণিক টহলদল কৌশলগতভাবে সরকারি সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার স্বার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে।”

বিজিবি’র টহলদলের সমন্বিত গুলি বর্ষণে ইয়াবা কারবারীরা তাদের নৌকা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লে ভাঁটার টানে পানিতে ডুবে যায়।

গোলাগুলির থামার পর টহলদলের সদস্যরা চোরাকারবারীদের ব্যবহৃত নৌকা হতে ৫টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তাগুলোর ভেতর হতে ৫ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। নৌকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ এবং ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, সরকারি কর্তব্যে বাঁধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888